সদ্য শেষ হয়েছে আইসিসি অন্যতম মেগা ইভেন্ট টি-২০ বিশ্বকাপের এবারের আসর। শেষ হওয়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে নিজেদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্ট শেষে বাংলাদেশের কারও পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো নয়। ব্যাট ও বল হাতে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষ দশে নেই কোনো বাংলাদেশি।
এবার রান সংগ্রহের দিক থেকে সবচেয়ে ওপরে বিরাট কোহলির নাম। ৬ ইনিংসে একশ ছুঁইছুঁই গড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই রান তার। তালিকায় শীর্ষ দশে কোনো বাংলাদেশি না থাকলেও ৫ ইনিংসে ১৮০ রান নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত আছেন একাদশ স্থানে। ৩৬ গড়ে ১১৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে দুটি অর্ধশতক আছে তার। শীর্ষ দশে সবার শেষের নাম গ্লেন ফিলিপসের, যিনি হাঁকিয়েছেন আসরের দুটি শতকের একটি। অন্য শতকটি রাইলি রুশোর, রানের দিক থেকে যার অবস্থান ২১তম।
কোহলি ও ফিলিপসের মাঝখানে শীর্ষ দশে আছেন (রানের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে বড় থেকে) ম্যাক্স ও’দোদ, সূর্যকুমার যাদব, জস বাটলার, কুশল মেন্ডিস, সিকান্দার রাজা, পাথুম নিসাঙ্কা, অ্যালেক্স হেলস ও লোরকান টাকার। অর্থাৎ, সহযোগী দেশেরই আছেন ২ জন। সিকান্দার রাজা ও পাথুম নিসাঙ্কার মতো তারা অবশ্য ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন বেশি, কারণ সুপার টুয়েলভে আসতে হয়েছে প্রথম পর্ব বা কোয়ালিফায়িং রাউন্ড মাড়িয়ে।
বল হাতে এককভাবে শীর্ষে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, যিনি ৮ ইনিংসে শিকার করেছেন ১৫ উইকেট। শীর্ষ দশে সবার শেষে নাম সিকান্দার রাজার। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই শীর্ষ দশে আছেন।
এছাড়া শীর্ষ দশে যথাক্রমে রয়েছেন ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় স্যাম কারান, বাস ডি লিড, ব্লেসিং মুজারাবানি, অ্যানরিখ নরকিয়া, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান, জশ লিটল ও পল ভন মিকেরেন। এখানে পিছিয়ে পড়া দলগুলোর খেলোয়াড়দের দাপট আরও স্পষ্ট। শীর্ষ দশের মধ্যে প্রথম পর্ব পেরিয়ে আসা বোলার বেশি হলেও সহযোগী দেশের ৩ জনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে চমক জাগানিয়া।
বাংলাদেশিদের মধ্যে বল হাতে সবচেয়ে সফল তাসকিন আহমেদ। ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে ১৬তম তিনি।